Featured Post

Asus Zenbook Duo In Bangladesh Market

কিভাবে বুঝবেন আপনার ভালবাসা একতরফা?

কিভাবে বুঝবেন আপনার ভালবাসা একতরফা?

কিভাবে বুঝবেন আপনার ভালবাসা একতরফা?

পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দদায়ক সম্পর্ক হচ্ছে ভালোবাসার সম্পর্ক। ভালোবাসার সম্পর্ক কিংবা অন্য যেকোনো সম্পর্কই হোক না কেন - সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি, খুনসুটি থাকবেই। কিন্তু ভালোবাসার সম্পর্ক যদি হয় অবহেলার এবং যেখানে কেবল আপনি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে যেতে থাকেন তবে একে বলা হয় স্বার্থপর ভালোবাসা। 

ভালবাসা অন্ধ এ কথা আমরা সবাই জানি। আপনি যখন গভীর প্রেমে ডুবে থাকেন, তখন আপনার ভালোবাসা যে একতরফা সেটা হয়তো আপনার চোখে পড়বে না। তাই আসুন জেনে নেই সম্পর্কের মধ্যে কোন লক্ষণ গুলো থাকলে বুঝতে পারবেন আপনার ভালবাসা একতরফা -


১. অধিকাংশ সময় আপনি যোগাযোগ আরম্ভ করেন 

আপনার ভালবাসা একতরফা

সম্পর্কের শুরু থেকে সব সময় আপনাকেই কি কথোপকথন শুরু করতে হয়? এমনকি কখনো হয়েছে যে আপনি আগে কল না করলে কিংবা মেসেজ না করলে আপনাদের মধ্যে কোন কথাই হয় না। দিনের পর দিন চলে গেলেও সে আপনার সাথে কথা বলার কোন প্রয়োজন বোধ করে না। তার সাথে দেখা করার, একসাথে ঘুরে বেড়াবার সমস্ত পরিকল্পনা সব সময় আপনিই করে থাকেন। ঠিক এমনটাই যদি হয়ে থাকে আপনাদের সম্পর্ক, তাহলে সম্ভাবনা আছে যে আপনার ভালবাসা একতরফা। এমন সম্পর্ক থেকে আপনার বেরিয়ে আসা উচিত যেখানে সব সময় আপনাকে নিজে থেকে যোগাযোগ শুরু করতে হয়। 


২. কখনো জানতে চাইবে না আপনার দিন কেমন গেল 

আপনার সঙ্গী নিশ্চয়ই তার সুখ-দুঃখের সকল কথা, সকল সমস্যা আপনার সাথে শেয়ার করে।  কিন্তু সঙ্গীর যদি আপনার মনের কথা, সুখ-দুঃখের কথা জানার কোনো আগ্রহই না থাকে তবে বিষয়টি আপনার ভবিষ্যৎ সম্পর্কের জন্য সুখকর নয়। এমনকি সে হয়ত কখনো আপনাকে জিজ্ঞেস করবে না আপনার দিনটি কেমন গেল। একটি স্বাস্থ্যকর সম্পর্কের জন্য একে অপরের কথা গুরুত্ব সহকারে শুনা অনেক জরুরী। 


৩. সব সময় আপনার উপরে কথা বলে 

আপনার সঙ্গী কি সবসময় আপনার কথার মাঝে বাধা দেয়? আপনি হয়তো কোন কিছু ব্যাখ্যা করছেন, তার মাঝেই কি আপনার সঙ্গী আপনাকে থামিয়ে তার কথা শুরু করে দেয়? একজন মানুষ যখন খুব বেশি আত্মকেন্দ্রিক হয় তখন সে অন্যের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করে না।  


৪. সম্পর্কের সমস্যা নিয়ে কখনোই খোলাখুলি কথা বলবে না 

আপনার হয়তো মনে হচ্ছে আপনার সঙ্গী আপনাকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে না কিংবা আপনাদের সম্পর্ককে অবহেলা করছে। কিন্তু এই সমস্যা নিয়ে যখন আপনি খোলাখুলি কথা বলতে চাইবেন তখন আপনার সঙ্গীর থেকে কোন সাড়া পাবেন না। সে হয়তো আপনার কথা এড়িয়ে যাবে কিংবা আপনাকেই উল্টো দোষারোপ করবে।  


৫. সব সময় বন্ধু-বান্ধবদের আপনার চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেয়

 

আপনার ভালবাসা একতরফা

বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সময় কাটাতে চাওয়া খারাপ কিছু নয়। কিন্তু সঙ্গী যদি আপনাকে সময় না দিয়ে, তার অধিকাংশ সময় বন্ধু-বান্ধবদের সাথে অতিবাহিত করে তাহলে বুঝতে হবে তার কাছে আপনার সাথে সময় কাটানো তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনার সঙ্গী কি একত্রে বসে সিনেমা দেখা কিংবা বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দিয়ে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে আড্ডা দিতে থাকে? তবে আপনি তার কাছে কেবল অবহেলার পাত্র। এভাবে কোন স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক গড়ে ওঠে না।  


রিলেশনশিপ টিপস:

যদি আপনি মনে করেন যে আপনি এমন একতরফা সম্পর্কের মধ্যে আছেন তাহলে চেষ্টা করুন সমস্যাটি নিয়ে সঙ্গীর সাথে শান্তভাবে আলোচনা করতে। যদি তাতেও কোনো কাজ না হয় তাহলে নিচের টিপসগুলো ফলো করুন :

১. আপনার সময় এবং এনার্জি জীবনের অন্য ক্ষেত্রগুলোতে ব্যয় করুন। দিনরাত সঙ্গীর কথা চিন্তা না করে সেই সময়টা আপনার মনকে আনন্দ দেয় এমন কোন কাজ করে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।  হতে পারে আপনি ছবি আঁকতে ভালোবাসেন, রান্না করতে ভালোবাসেন কিংবা গাছ লাগাতে ভালোবাসেন। আপনার মনকে প্রফুল্ল করবে এমন কোন কাজে ডুবে থাকুন। 

কিভাবে বুঝবেন আপনার ভালবাসা একতরফা?


২. এরপরেও যদি দেখেন সঙ্গীর প্রতি আপনার অনুভূতি এখনো আগের মতোই শক্তিশালী তাহলে কিছুক্ষণ সময় নিয়ে ভেবে দেখুন সে যেমনটা আছে তেমনি আপনি তাকে ভালোবাসেন নাকি আপনি তাকে অন্যরকম ভাবে পেতে চান। 

৩. হয়তো আপনি এক ধরনের ঘোর এর মধ্যে রয়েছেন; হয়তো আপনার একাকীত্ব বোধ থেকে সঙ্গীর অবহেলা সহ্য করে সম্পর্কে টিকে আছেন। উপরের লক্ষণ গুলো যদি আপনাদের সম্পর্কের সাথে মিলে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার ভালবাসা একতরফা।  

৪. এরপরেও যদি আপনি সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখতে চান তাহলে সম্পর্কে সঙ্গীর অবহেলার কারণ খুঁজে বের করুন। হতে পারে সেও আপনাকে ভালোবাসে কিন্তু তার খামখেয়ালিপনা স্বভাবের কারণে সম্পর্কে অবহেলা করছে এবং সেটা বুঝতেই পারছে না। কিংবা সে হয়ত মনের লুকানো ক্ষোভ ,দুঃখ কিংবা মানসিক হতাশার কারণে এমন ব্যবহার করছে। 

৫. কিন্তু দিনশেষে যদি দেখেন যে আপনি আসলেই অসুখী কিংবা সঙ্গীর প্রতি আপনার কোন ধরনের অনুভূতি, ভালোবাসা কাজ করছে না; তাহলে আপনার জন্য উত্তম হবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়াই সঠিক হবে। হয়তো তাহলে আপনার উচিত হবে এই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা।  এমন সঙ্গী বেছে নেওয়া যার কাছে আপনার চাওয়া-পাওয়া, প্রয়োজন সমান গুরুত্ব পাবে।



Related Posts

Comments